Aurora Health Tips

Expert advise from Aurora Specialist

বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণের পদ্ধতি

বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণের পদ্ধতি

অবাঞ্ছিত লোম  Hirsutism কীঃ
অবাঞ্ছিত লোম সাধারনত মেয়েদের বিশেষ কিছু জায়গায় যেমন, ঠোঁটের উপর, চিবুক, বুক, নাভির চারপাশে ,পেট বা পিঠে তুলনামূলক মোটা, কালো ও একটু ঘন পুরুষের মত লোম দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়– এই অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধিকে ‘হারসুটিজম’ বলা হয়।


অবাঞ্ছিত লোম / হারসুটিজম কী কারণে হতে পারেঃ 
অবাঞ্ছিত লোম বিশেষ কিছু কারণে হতে পারে যেমন-
* মেয়েদের শরীরে অস্বাভাবিকভাবে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোন বৃদ্ধি পেলে।
* polycystic ovary syndrome (PCOS), বিশেষ কিছু রোগে এই হরমোন বৃদ্ধি পায় – Ovairan টিউমার, অ্যড্রনাল গ্রন্থি ও  পিটুইটারি গ্রন্থির রোগের কারণে
* এ ছাড়াও কিছু ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করলেও অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে, যেমন- মিনোক্সিডিল, স্টেরয়েড।
অনেক সময় দেখা যায়, এ সমস্যা বংশগত কারণে  হয়ে থাকে। এ ছাড়া  দৈহিক স্থুলতার  কারণেও মেয়েদের এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।


বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণের পদ্ধতি:
এই রোগ নির্নয়ে এবং চিকিৎসা নিতে প্রথমেই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণের অত্যন্ত কার্যকর, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো লেজার। আর এই লেজার সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। লেজার এক ধরনের বিশেষ রশ্মি, যা শুধু চুলের গোড়ায় কাজ করে। এই রশ্মির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ঘন লোম পাতলা ও সংখ্যায় কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা হয়। এই চিকিৎসা সাধারণত এক মাস অন্তর অন্তর নিতে হয়। রোগীর লোমের অবস্থা ও তীব্রতা অনুযায়ী ক’টি সেশন লাগবে সেটা নিশ্চিত করা হয়।


অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণে বিভিন্ন ধরনের লেজার আছে যেমন :
*Diode Laser
*IPL Laser
*Nd YAG Laser


সবগুলো পদ্ধতি অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর।  লেজার চিকিৎসার পাশাপাশি অন্য কারণগুলোর লক্ষণ যদি থাকে তাহলে সেই রোগেরও চিকিৎসা করতে হবে। তাহলেই একটা সন্তোষজনক ও স্থায়ী ফলাফল পাওয়া যাবে। বর্তমানে যারা এই সমস্যায় অছেন তারা চিন্তা না করে এই সমস্যাটির সমাধানে  আধুনিক যে চিকিৎসা পদ্ধতি বা সেবা আছে এগুলোর মাধ্যমে পরিত্রাণ পেতে পারেন।