রক্তের চর্বি কমানোর নিয়মাবলী
আমাদের শরীরের (যেমা- কোষ, হরমোন তৈরীর) জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন হয়। অসম্পৃক্ত ফ্যাট (Unsaturated Fat) ও উদ্ভিজ তেল (যেমন-Corn oil) প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে হবে। ব্যাড কোলেষ্টেরল(LDL) যা হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনীর সমস্যা ও Gangrene জাতীয় রোগের সৃষ্টি করে। তার উপায়: খাদ্য নিয়ন্ত্রন, ব্যায়াম ও ঔষধ। HDL শরীরের জন্য উপকারী।
নিম্নে কোলেষ্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা দেয়া হলো:
১। কোলেষ্টেরল সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত (saturated Fat) খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে যেমন:
- ডিমের কুসুম, কলিজা, মাছের ডিম, মাংসের চর্বি, হাঁস-মুরগীর গিলা-কলিজা ও চামড়া, হাড়ের মজ্জা, লাল মাংস যেমন- গরু, মহিষ ও খাশীর মাংস, চিংড়ি মাছ, পাংগাস মাছ ও ইলিশ মাছ।
- ঘি, মাখন, ডালডা, মার্জারিন, পামওয়েল, নারিকেল তেল ও নারিকেল দিয়ে তৈরি খাদ্য দ্রব্য, তেলে ডুবে থাকা আচার।
- চকোলেট ও চকোলেট জাতীয় খাবার, আইসক্রীম, সসেজ, কেক ও বিস্কুট, ফাস্ট ফুড, পনির।
- পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, যেমন- পনির, দৈ ও ঘোল। তবে ননীবিহীন দুধ এবং দুধের তৈরী অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।
২। আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে কমপক্ষে ৩০ গ্রাম প্রতিদিন। যেমন:
+ ডাল: বুটের ডাল
+ শাক ও সবজি
+ ফল
+ কাঁচা রসুন
+ বাদাম
+ লাল আটার রুটি
+ জব, মটরশুটি, মেথির গুড়া ও ইসুবগুলের ভূষি।
৩। উপকারী ফ্যাট যথা অসম্পৃক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে যেমন:
+ মাছ বিশেষত সমুদ্রের মাছ
+ উদ্ভিজ তেল
৪। রোস্ট, ফ্রাইড বা ডুবা তেলে ভাজা বর্জন করুন।
৫। মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন এবং আপনি ডায়বেটিক রোগী হলে বর্জন করবেন।
ব্যায়াম:
প্রতিদিন অতন্ত ৩০ মিনিট হাটবেন যাতে শরীরে ঘাম হয়, ক্ষুধা জাগ্রত হয় এবং আপনার হৃদপিন্ডের গতি শতকরা ৩০-৪০ ভাগ বেড়ে যায়। কমপক্ষে প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট দ্রুত হাটবেন। দ্রুত হাটতে না পারলে সাইক্লিং বা ডান্স করবেন।