বিউটিপিলিং
মানুষ মাত্রই সৌন্দর্য সচেতন। ধুলা ,বালি, রোদ ,বৃষ্টিতে মানুষের ত্বকের এই সৌন্দর্য ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় এবং ত্বকের উপরিস্তরের কোষ(Epidermis) গুলো বিভিন্ন ভাবে আক্রান্ত হয় যেমন রোদেপোড়া দাগ,রেশ চুলকানি,ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি। এর ফলে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ত্বকের এই সৌন্দর্য কে ধরে রাখার জন্য আদি কাল থেকে রুপচর্চা বিষয়ক নানা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এই রুপচর্চার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বিভিন্ন ধরণের ফল, খাদ্যশস্য, মদ, দুধ, দৈ ইত্যাদি
উদাহারন স্বরুপ বলা যেতে পারে প্রাচীন মিসরের রানী ক্লিওপেট্রা যিনি টক দৈ দিয়ে গোসল করতেন আবার অনুরুপ ভাবেই ফরাসী মহিলারা পুরোনো মদ শরীরে মাখতেন ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্যে একই সাথে ত্বকের পরিচর্চায় আমাদের দেশের অনেক মহিলা বিভিন্ন ফল ও খাদ্যশস্য কে ত্বকে ব্যবহার করেন, ত্বকে ব্যবহৃত এসব পদ্ধতি স্থুল এবং এই পদ্ধতিতে কখনও কখনও উপকার পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন দুধে ল্যাকটিক এসিড, লেবু ও কমলায় সাইট্রিক এসিড, আপেলে ম্যালিক এসিড, আংগুরে টারটারিক এসিড রয়েছে এগুলোই সক্রিয় উপাদান যা ত্বকের জন্য উপকারী।
এসব লাগানোর পদ্ধতি ও মাত্রা বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।নির্ধারিত মাত্রার থেকে কম হলে উপকারে আসে না আবার বেশি হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।বৈজ্ঞানিক ভাবে সঠিক ও নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগবিধি বিউটিপিলিং নামে পরিচিত।
বিউটিপিলিং এর উপকারিতা:
* ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
* রোদেপোড়া দাগ দূর করে
* মেছতা দূরীকরণে সহায়তা করে
* বয়সের ছাপ দূরিকরণে সহায়তা করে।