এলোপেশিয়া এরিয়াটা
হঠাৎ মাথা বা শরীরের কোনো বিশেষ অংশের চুল পড়ে যাওয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট বৃত্তাকার এলাকার চুল উঠে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক বেশি চুল পড়ে যায়; যেমন পুরো মাথা বা শরীর। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই এটা হতে পারে।
এলোপেশিয়া এরিয়াটা ৩ ধরণের হয়ে থাকে। যেমনঃ
১. লোকাল /ফোকাল এলোপেশিয়া:
এই ক্ষেত্রে মাথার তালু, দাঁড়ি বা ভ্রু এর যে কোন এক বা একাধিক জায়গায় গুচ্ছাকারে গোল হয়ে চুল পড়ে যায়। চুল পড়া স্থানটি মসৃন থাকে । পড়ে যাওয়া চুল সাধারণত কয়েক মাসের ভিতর আবার গজায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই চুলের অনুপস্থিতি কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
২. এলোপেশিয়া টোটালিস:
এই ক্ষেত্রে পুরো মাথায় সব চুল পড়ে যায়।
৩. এলোপেশিয়া ইউনিভার্সালিস:
এ ক্ষেত্রে পুরো শরীরের সব চুল ও লোম পড়ে যায়।
কারণঃ এটি একটি অটো ইমিউন রোগ। এক্ষেত্রে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হলে চুলের গোড়ার ফলিকলকে আক্রমণ করে এবং চুল পড়ে যায়।বেশির ভাগক্ষেত্রে ব্যক্তির জিনগত গঠনই এর জন্য দায়ি। সাধারণত যে কোন সুস্থ মানুষেরই এলোপেশিয়া এরিয়াটা হতে পারে। এ রোগের সঙ্গে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অটোইমিউন রোগের যোগাযোগ রয়েছে; যেমন শ্বেতি, থাইরয়েড গ্রন্থির কিছু রোগ, ডায়াবেটিস, ডাউন সিন্ড্রম, এটপিক ডার্মাটাইটিস এজমা ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ কোনো কোনো ক্ষেত্রে (সব সময় নয়) চিকিৎসা ছাড়াই এ সব টাকে চুল গজাতে পারে, তবে কত দিন পড়ে চুল ফিরে আসবে অথবা আদৌ চুল গজাবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আধুনিক কিছু চিকিৎসা যেমনঃ
১. মুখে খাওয়ার এবং লাগানোর ঔষধ
২. আই /এল থেরাপি
৩. ক্রায়ো থেরাপি
৪. পি আর পি থেরাপি
৫. Narrowband UVB therapy
৬. Excimer therapy