পি আর পি থেরাপি
বর্তমানে চুলের আধুনিক ও জনপ্রিয় চিকিৎসা হচ্ছে পি আর পি থেরাপি। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে এর রয়েছে ব্যপক জনপ্রিয়তা। আমাদের দেশেও সাফল্যের সাথে এই চিকিৎসা শুরু হয়েছে এবং দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
পি আর পি থেরাপি কি?
পি আর পি বা Platelet Rich Plasma হচ্ছে রক্তের বিশেষ প্রক্রিয়াজাত অণুচক্রিকা সমৃদ্ধ রক্তরস (রক্তের বর্ণহীন সাদা অংশ)। রক্ত থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অণুচক্রিকা আলাদা করে তা থেকে গ্রোথ ফ্যাক্টর বের করা হয়। এই গ্রোথ ফ্যাক্টর সমৃদ্ধ রক্তরস (প্লাজমা) সিরিঞ্জের মাধ্যমে চুলের গোরায় প্রদান করা হয়, যা চুলের ফলিকল এবং চুলের কোষকে উজ্জীবিত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
পি আর পি কারা নিতে পারবে?
পি আর পি নেয়ার বিশেষ কোন বয়স নেই,তবে ২০- ৪০ বছর বয়সে এর ফলাফল ভাল পাওয়া যায়। পুরুষ ও মহিলা সকলের চুলের সমস্যায় এ চিকিৎসা প্রযোজ্য। তবে কারও যদি মাথার ত্বকে চুলের গোঁড়া না থাকে অর্থাৎ দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় চুলের গোঁড়া বিলুপ্ত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা কম। সেজন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পি আর পি করা যেতে পারে।
সময় এবং সেশনঃ
সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর পর মোট ৬ টি সেশন নিতে হয়। ৩-৪ টি সেশনেই উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। ভাল ফলাফলের জন্য পরবর্তীতে বছরে ৪ টি করে পি আর পি নিলে ও আনুষঙ্গিক কিছু ঔষধ খাওয়া বা ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সাধারণত পি আর পি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৩০-৪৫ মিনিট।
উপকারিতাঃ
+ পি আর পি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ও ১০০ ভাগ নিরাপদ, কারণ এটা নিজের রক্ত থেকে নেওয়া হয়।
+ নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
+ রুগ্ন ও অসুস্থ চুলকে মোটা ও স্বাস্থ্যবান হতে সাহায্য করে।
+ চুলের রুক্ষতা দূর করে।
সতর্কতাঃ
- মাথায় চর্মরোগ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- সর্বোপরি, চুলের চিকিৎসায় খাওয়ার ঔষধ ও পি আর পি থেরাপি দুয়ে মিলে
- কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় এবং পি আর পি নিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সহায়তা অবশ্যই জরুরী।